অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অভিবাসন-প্রত্যাশীদের স্বাগত জানাতে সম্মত কানাডার রাজনৈতিক দলগুলো


রোনাল্ড মারো মন্ট্রিল থেকে প্রায় ৩শ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সেন্ট-জর্জেসের ওএসআই ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮। ফাইল ছবি।

অনেক উন্নত দেশ যখন অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে, কানাডা বিদেশ থেকে আরও নতুন বাসিন্দাদের জন্য তাদের দরজা উন্মুক্ত করার সমর্থনে একটি বিস্তৃত ঐকমত্যের সম্মুখীন হচ্ছে।

গত দুই বছরে রেকর্ড সংখ্যাক অভিবাসন প্রত্যাশীরা কানাডায় গিয়েছে। দেশটির ৩টি প্রধান রাজনৈতিক দলই এই নীতির সমর্থন করে। যতটুকু দ্বিমত পোষণ করে সেটা হলো অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ধীর করে এমন আমলাতান্ত্রিক বাধার নিন্দা। একইভাবে প্রধান সংবাদ মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগ এই নয় যে, অভিবাসন খুব সহজ; বরং খুব কঠিন-এমন অভিযোগ করা হয়।

অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার গত মাসে একটি সংবাদ সম্মেলনে গর্ব করে বলেছিলেন যে কানাডা “২০২২ সালে ৪ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দেয়ায় তার অভিবাসন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার পথে রয়েছে।” এটি সহজেই ২০২১ সালে ৪ লাখ ১ হাজার অভিবাসীকে অনুমোদন দেয়ার রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি।

তুলনা করা হলে, যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা কানাডার ৯ গুণ।কিন্তু ২০২১ সালে দেশটির অভিবাসী অনুমোদনের সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার যা আগের বছরের চেয়ে ৪ লাখ ৭৭ হাজার কম। অভিবাসন-সন্দেহবাদী ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের ঠিক আগের বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অভিবাসনের অনুমোদন দিত।

নতুনদের স্বাগত জানানোর সরকারি নীতি সত্ব্বেও অভিবাসন পরামর্শদাতারা সতর্ক করেছেন যে, প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ এবং চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

টরন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির একজন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হ্যারল্ড বাউডার চান, নবাগতরা উপলব্ধি করুক যে কানাডা প্রকৃতপক্ষে “একটি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র” এবং অভিবাসীদের বংশোদ্ভূতেরা নয়, কেবল মাত্র এমন কানাডিয়ান আদিবাসীরাই এ রাষ্ট্রের সদস্য।

XS
SM
MD
LG