বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনীতিকরা সম্ভাব্য নতুন পারমাণবিক পরীক্ষাসহ উত্তর কোরিয়ার যে কোনো হুমকির জবাবে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে দায়িত্বে থাকা তিনজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকও তাদের নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য তাদের প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে। কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের উপনিবেশ স্থাপন নিয়ে ঐতিহাসিক বিরোধের কারণে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এশিয়ান ও ওশেনিয়ান এফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক তাকেহিরো ফুনাকোশি বলেছেন, ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার মূল লক্ষ্য, উত্তর কোরিয়া এবং তাদের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন।
উত্তর কোরিয়া তার এ অবধি শেষ ও ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করেছিল ২০১৭ সালে। বিশেষজ্ঞরা আরেকটি পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষণ উল্লেখ করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সুং কিম বলেছেন, তিনটি দেশ “(উত্তর কোরিয়ার) উসকানির জবাব দেয়ার জন্য এবং এই অঞ্চলে মিত্রদের রক্ষা করার জন্য... সমস্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ”
সুং কিম বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের তাদের লক্ষ্য পরিবর্তিত হয়নি। তিনি বলেন, “আমরা (উত্তর কোরিয়া) -র সাথে সংলাপের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনোপ্রকার পূর্বশর্ত ছাড়াই সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত আছি।”
কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি কিম গুন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের অধীনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য আরও প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।