পাকিস্তানের একটি আদালত বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দেশটির লোকানুবর্তী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একজন নারী বিচারককে হুমকি দেওয়ার জন্য অবমাননার মামলায় অভিযুক্ত করবে।
৭০ বছর বয়সী বিরোধী নেতা দোষী সাব্যস্ত হলে ছয় মাসের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। এর ফলে পাকিস্তানের নির্বাচনী আইনের অধীনে পাঁচ বছরের জন্য তিনি জাতীয় রাজনীতিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
মামলার শুনানির পর, রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টের পাঁচ বিচারকের একটি প্যানেল রায় দিয়েছে যে খানের বিরুদ্ধে ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হবে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদচ্যুত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দেওয়ার জন্য বিশাল সরকার বিরোধী সমাবেশ করছেন।
গত মাসে রাজধানীতে তার দলের কয়েক হাজার সমর্থকের কাছে খানের দেওয়া একটি টেলিভিশন ভাষণে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর হেফাজতে থাকার সময়ে কথিত নির্যাতনে ভূমিকা রাখার জন্য একজন নারী বিচারক এবং ইসলামাবাদের সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। খান প্রতিজ্ঞা করেছিলেন "আমরা আপনাদের রেহাই দেব না। আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করব"।
সিটি পুলিশ পরে তাদের অফিসারদের হুমকি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে তাকে অভিযুক্ত করে, যখন হাইকোর্ট তাকে বিচারকের বিরুদ্ধে তার বিতর্কিত মন্তব্য ব্যাখ্যা করার জন্য তলব করেছিল।
খান, এই সপ্তাহের শুরুতে আদালতে জমা দেওয়া তার লিখিত প্রতিক্রিয়ায়, সরাসরি ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন, বলেছিলেন যে সমাবেশে তার "অনিচ্ছাকৃত উচ্চারণ" এর অর্থ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া নয়।
বৃহস্পতিবার আদালত খানের প্রতিক্রিয়া "অসন্তোষজনক" বলে ঘোষণা করেছে এবং এই মাসের শেষের দিকে তাকে অভিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।