বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ,অস্ট্রিয়ার ভলকার তুর্ককে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার, রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তুর্ক কে চিলির মিশেল বাশেলেটের স্থলাভিষিক্ত করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন , যার মেয়াদ গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়েছে। তুর্ক বর্তমানে গুতেরেসের দপ্তরে আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পলিসি হিসেবে কাজ করছেন।
তুর্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি তার প্রস্থানের কয়েক মিনিট আগে তার পূর্বসূরির দ্বারা প্রকাশিত চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলের উপর একটি প্রতিবেদনের ফলো-আপ নিয়ে কাজ করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমানদের 'নির্বিচারে ও বৈষম্যমূলকভাবে আটক' করা হলে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
চীন,শিনজিয়াং-এ কোনো ধরনের নির্যাতনের কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে।
জাতিসংঘে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত দাই বিং সাধারণ পরিষদে বলেন,
“এটা চীনের আশা যে, মি. তুর্ক বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতার নীতিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার মাধ্যমে এই অফিসকে নেতৃত্ব দেবেন। এবং অ-রাজনীতিকরণ বজায় রাখবেন”।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত লিসা কার্টি বলেন, 'তুর্ককে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের জন্য একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও অবিচল কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করতে হবে।‘’
তিনি আরও বলেন, 'হাই কমিশনারকে অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহার যেখানেই ঘটুক না কেন, তা দূর করার ইচ্ছা পোষণ করতে হবে”।
এই পদের জন্য অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন আর্জেন্টিনার ক্যারিয়ার কূটনীতিক ফেডেরিকো ভিলেগাস এবং সেনেগালের অ্যাডামা ডিয়েং, যিনি পূর্বে গুতেরেসকে গণহত্যা প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর হিউম্যান রাইটস-এর নির্বাহী পরিচালক ফিল লিঞ্চ বলেন, তুর্কের নির্বাচনে স্বাধীন সুশীল সমাজের সঙ্গে স্বচ্ছতা ও পরামর্শের অভাব রয়েছে।
লিঞ্চ বলেন,"মহাসচিব পরবর্তী হাই কমিশনারের বৈধতা এবং কর্তৃত্ব গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হারিয়েছেন”।