অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খেলাপি ঋণের পরিমাণ হ্রাস করতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক


আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার ‘অর্থনীতির শত্রু’ হিসেবে পরিচিত খেলাপি ঋণ-এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণ-খেলাপি মামলাজট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।”

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৪৭তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে, আমাদের অবশ্যই ঋণ খেলাপি মামলাজট খুলতে হবে এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করেছে। এর মাধ্যমে আদালতের বাইরে এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, মামলার পক্ষগনের অনাগ্রহের কারণে এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হচ্ছে না। ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে, এডিআর পদ্ধতিকে আরও কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদী পক্ষের অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে।”

আনিসুল হক আরও বলেন, “ন্যায়বিচারের সঙ্গে সামাজিক অপরাধ, রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ও নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিবিড়ভাবে জড়িত। তাছাড়া, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ব্যতিত রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায় না।”

মামলা জটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “আদালতগুলোতে দায়েরকৃত সিভিল মামলার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি সম্পর্কিত। অনেক ফৌজদারি মামলার মূলে রয়েছে ভূমি বিরোধ। এসব মামলার বিচার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে ধর্ণা দিতে হয়। এতে যে কেবল তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে তা নয়, মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যে সময় উৎপাদনের কাজে থাকার কথা, সে সময় আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে বিচার পাওয়ার প্রহর গুণতে হচ্ছে তাদের।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন বিচারকগণ এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেবেন এবং জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করবেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, “বিচারকদের দায়িত্ব পালনে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি মাত্র। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, দক্ষতার সঙ্গে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের দাপ্তরিক সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধান এবং পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো অপরিহার্য।”

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

XS
SM
MD
LG