ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে শনিবার সকালে,৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কয়েক মিনিট পর, ৫ দশমিক ৮ মাত্রার পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) বিভাগ।
ইউএসজিএস জানায়, দুটি ভূমিকম্পই আবেপুরা শহর থেকে প্রায় ২৭২ কিলোমিটার দূরে, ১৫ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। এটা ভুমিকম্পের জন্য তুলনামুলক ভাবে কম গভীর।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা (বিকেএমজি) একটি টুইট বার্তায়,মাঝারি কম্পন এবং হালকা ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় “রিং অফ ফায়ার” অঞ্চলে অবস্থানের কারণে,ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। রিং অফ ফায়ার একটি তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল, যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ হয়। জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে, ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে সুলাওয়েসি দ্বীপকে তছনছ করে দিয়েছিল। ঐ ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সমুদ্রতীরবর্তী শহর মামুজু’র ভবনগুলোকে ভেঙেচুরে দুমড়ানো ধাতু ও কংক্রিটের স্তুপে পরিণত করেছিল।
|
|