ইউক্রেনের যুদ্ধের আলোকে রাশিয়ার জ্বালানি শক্তির বিকল্প উৎসগুলোর জন্য একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধান ক্ষুদ্র, সহজে নির্মাণযোগ্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। সমর্থকেরা বলেন যে, পুরনো মডেলের বৃহৎ পারমাণবিক স্থাপনার পরিবর্তে এগুলো আরও সস্তা, আরও দক্ষ বিকল্প প্রদান করতে পারে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক রোলস রয়েস এসএমআর বলেছে, এর ক্ষুদ্র মডুলার রি-অ্যাক্টর বা এসএমআর এখনকার পারমাণবিক স্থাপনার চেয়ে অনেক সস্তা, দ্রুতগতির এবং অনেক দেশ যে ধরনের জ্বালানি নিরাপত্তা সরবরাহ করতে চাইছে সেরকম।
রোলস রয়েস এসএমআর এবং এর প্রতিযোগীরা স্টেশনগুলো নির্মাণ শুরু করার জন্য ব্রিটেন থেকে পোল্যান্ড পর্যন্ত দেশগুলোর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ক্ষুদ্র চুল্লিগুলোকে কার্যক্ষম করার জন্য এখনো অনেক বছর বাকি এবং এগুলো ইউরোপের বর্তমান জ্বালানি সংকটের সমাধান করতে পারে না।
পারমাণবিক শক্তি ঝুঁকিও তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পরিত্যাগ করা এবং সেই প্রযুক্তিকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে এমন দুর্বৃত্ত দেশ বা দুষ্ট গোষ্ঠীর হাত থেকে দূরে রাখা।
ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়াতে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে গোলাগুলির পরে এই ঝুঁকিগুলো আরও বৃদ্ধি পেয়েছে যা সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
গত মাসে রোলস রয়েস এসএমআর বলেছিল যে, তারা নেদারল্যান্ডসে এসএমআর স্থাপনের জন্য ডাচ উন্নয়ন-সংস্থা ইউএলসি-এনার্জির সাথে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
এসএমআর-এর মোড়কে “অপ্রমাণিত” পারমাণবিক শক্তি প্রযুক্তির প্রবর্তন পরিবেশবাদীরা ভালোভাবে নেননি। তারা যুক্তি দেন যে, ক্ষুদ্র চুল্লির বিস্তার কীভাবে অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় পারমাণবিক বর্জ্য পরিত্যাগ করা যায় সে সংক্রান্ত সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।