সোমবার থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচিতে চীনের উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের গণহারে বন্দি করার বিষয়টি নেই। তবে বিতর্কিত নীতিটি কাউন্সিলের মাসব্যাপী অধিবেশনের সময় যাচাই করা অন্যান্য সমস্ত বিষয়কে ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মীরা জিনজিয়াং-এ ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত পদ্ধতিগত, ব্যাপক নির্যাতনের জন্য চীনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি তুলেছে।
চীনের বিরুদ্ধে নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে এমন অন্যান্য লঙ্ঘনের অভিযোগ উল্লেখ করে ৩১ আগস্ট দীর্ঘ প্রতিক্ষিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এই দাবিগুলো আরও জোরালো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক মিনিট আগে মিশেল ব্যাচেলেট এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। বিদায়ী বক্তব্যে তিনি জিনজিয়াং-এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলকে আহ্বান জানান।
গত সপ্তাহে একটি ব্রিফিং-এ কাউন্সিলের সভাপতি ফেদেরিকো ভিলেগাস চীনের ওপর একটি বিশেষ অধিবেশনের সম্ভাব্য আহ্বান সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো কূটনৈতিকভাবে এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেন, কাউন্সিল প্রতিবেদনটি বাধ্যতামূলক করেনি।
জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত চেন জু জেনেভায় বলেছেন, চীন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে মানবাধিকারকে ব্যবহার করার যেকোনো প্রচেষ্টার দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করবে।
চেন বলেন, চীন মানবাধিকার বিষয়ক নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সাথে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তুত। তবে তিনি বলেছেন, তুর্ককে অবশ্যই তার ম্যান্ডেট পালন করতে হবে এবং সেই সম্পর্কটি কার্যকর করার জন্য একটি “নিরপেক্ষ” রাজনৈতিক পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।