চীনের একটি কলেজ ছাত্রাবাসে কিছু ছাত্রের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সনাক্ত হওয়ায় প্রায় ৫শ জন শিক্ষার্থীকে একটি পৃথকীকরণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটির ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন শিক্ষক এবং ৫ জন সহকারীকে বাসে করে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত আনুমানিক সাড়ে ৬ কোটি চীনা বাসিন্দা লকডাউনের অধীনে ছিল যদিও রবিবার সংক্রমণের মাত্র ১২৪৮টি নতুন ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গহীন ছিল।
লকডাউনের ফলে অনলাইনে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এটি ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য পণ্যগুলোর জন্য বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে প্রভাবিত করেছে যার ফলে দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
“জিরো কোভিড” নীতিটি প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শি জিনপিং-এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এর ফলে সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বাস্থ্য সংকটের রাজনীতিকরণের অভিযোগ উঠেছে। জিরো কোভিড নীতিটি টেকসই নয়- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে শি-র প্রশাসন। তার প্রশাসন বিদেশী ভ্যাকসিনগুলোকে অনুমোদন দিতে অস্বীকার করেছে। ওই ভ্যাকসিনগুলো চীনা কোম্পানিগুলোর দ্বারা উৎপাদিত ভ্যাকসিনের চেয়ে অধিকতর কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।
শি ২০২০ সালের প্রথম দিকে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বিদেশ ভ্রমণ করেননি। তিনি ক্ষমতার সকল যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রেখেছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের হয় কোণঠাসা করেছেন নয় বন্দি করেছেন। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে তিনি একটি দ্বন্দ্বমূলক অবস্থা বজায় রেখেছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদসীমা তুলে দিয়েছেন এবং আগামী মাসের পার্টি কংগ্রেসে কমিউনিস্ট নেতা হিসেবে তৃতীয়বারের মতো ৫ বছরের মেয়াদ পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।