অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন, শেখ হাসিনার শোক প্রকাশ


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

সংসদের উপনেতা দুই সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্তে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।এছাড়াও, ২০১৫ সালে সাজেদা চৌধুরীর বাইপাস সার্জারি হয়।

১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করা সাজেদা চৌধুরী ২০১৯ সাল থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদের উপনেতা হন। তিনি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদ উপনেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, “সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে জাতির এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো, আমরা একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে হারালাম এবং আমি হারালাম একজন সত্যিকার অভভিাবক।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পরিচয়। তখন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ’৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলন এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তিনি ’৭০-এর নির্বাচনে সাতজন নারী গণপরিষদ সদস্যের একজন ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল র্পযন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সাজেদা চৌধুরী ১৯৮৬-১৯৯২ পর্যন্ত পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মলেনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরীর ভূমকিা ছিল অপরিসীম। ’৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফেরার পর, শেখ হাসিনা তাঁকে একজন অভভিাবক হিসেবে পেয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

XS
SM
MD
LG