ইউক্রেনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চালানো পাল্টা আক্রমণে তাদের বাহিনী অগ্রগতি সাধন করার পর রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎব্যবস্থা ও অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রবিবার দিনের শেষভাগে টুইটারে বলেন, “খারকিভ ও ডনেটস্ক অঞ্চল পুরোপুরি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন, ঝাপোরিঝিয়া, নিপ্রোপেটরোভস্ক ও সুমি অঞ্চল আংশিকভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। কোন সামরিক স্থাপনায় নয়, উদ্দেশ্য হল মানুষজনকে আলো ও উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত করা।”
শহর পুনর্দখল করেছে ইউক্রেন
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের বাহিনী খারকিভ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সাফল্য অর্জন করেছে। সফলতাগুলোর মধ্যে একটি হল ইজিয়ুম শহরটি পুনর্দখল করা। রুশ সৈন্যরা শহরটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুজনি বলেন যে, সেপ্টেম্বরের শুরু হতে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে ইউক্রেন প্রায় ৩,০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা পুনরুদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনারা বর্তমানে রাশিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
যুদ্ধের শুরুতে রাজধানী কিয়েভ দখলের একটি রুশ চেষ্টাকে ইউক্রেন নস্যাৎ করে দিয়েছিল। তারপর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের সাম্প্রতিক অর্জনগুলোই ইউক্রেনের অর্জিত সবচেয়ে বড় সাফল্য। খারকিভ অঞ্চলে ইউক্রেনের আক্রমণটি রাশিয়াকে বিস্মিত করেছে বলে মনে হয়েছে। রাশিয়া তাদের অনেক সৈন্যকেই ঐ এলাকা থেকে সরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তর করেছিল, যেখানে কিয়েভ প্রকাশ্যে একটি পাল্টা আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছিল।