মঙ্গলবার এডিনবারার সেইন্ট জাইলস ক্যাথেড্রালে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের প্রতি জনসাধারণ তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রানীর মরদেহ লন্ডনে নেয়া হবে।
প্রথমে রানীর মরদেহ বাকিংহ্যাম প্রাসাদে নেওয়া হবে। তারপর রাজা চার্লসের নেতৃত্বে রানীর কফিন একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেওয়া হবে। সেখানে ৪ দিন রানীর কফিন রাজকীয় রক্ষীদের প্রহরায় দর্শনার্থীদের জন্য দিনে ২৩ ঘণ্টা করে উন্মুক্ত থাকবে।
ওয়েস্টমিনস্টারে হাজার হাজার মানুষ রানীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার রাজা তৃতীয় চার্লস লন্ডনে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
প্রায় ১ হাজার আইনপ্রণেতা ও তাদের অতিথিরা রানী এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার পর চার্লস তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
চার্লস বলেন, ‘তিনি (রানী) নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালনের যে নিদর্শন স্থাপন করেছেন, সেটাই আমি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ও আপনাদের উপদেশ অনুযায়ী নিষ্ঠার সঙ্গে অনুসরণ করতে চাই’।
রানীর মরদেহ বহনকারী যানটি রোববার বালমোরাল প্রাসাদ থেকে যাত্রা শুরু করে এবং একইসঙ্গে শুরু হয় তার দীর্ঘ, অন্তিম যাত্রা।
গাড়িবহরে রাজপ্রাসাদ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা ছিলেন। গাড়িবহরটি ধীরে ধীরে স্কটল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যায়, যে অঞ্চল প্রয়াত রানীর খুব প্রিয় জায়গা ছিল। এখানেই তিনি তার জীবনের শেষ কয়েকটি সপ্তাহ শান্তিপূর্ণভাবে কাটিয়েছেন।
তাকে শেষ দেখা ও বিদায় জানানোর জন্য রাস্তার দু’পাশে এলাকাবাসীরা জমায়েত হন।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কফিনটি উইন্ডসরে কবর দেওয়া হবে, যেখানে রানীর স্বামী প্রিন্স ফিলিপকে ২০২১ সালের এপ্রিলে সমাধিস্থ করা হয়েছে।