কেনিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে রাইলা ওডিঙ্গার বিরুদ্ধে অল্প ব্যবধানে জেতার পর মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। ওডিঙ্গা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন।
অনুষ্ঠানটি দেখতে নাইরোবির মোই ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস সেন্টারে হাজার হাজার কেনীয় এবং অন্তত ২০ জন রাষ্ট্রপ্রধান জড়ো হয়েছিল।
অনেক মানুষ জোর করে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। কেনিয়ার রেড ক্রসের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক পিটার আবওয়াও বলেছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারীরা প্রায় ৪০ জনকে সামান্য আঘাতের চিকিৎসা প্রদান করেছেন।
আবওয়াও বলেন, “সেখানে অনেকে বেড়ার ওপর দিয়ে লাফ দেয়ার চেষ্টা করেছিল এবং তারপরে কেউ কেউ পড়ে গিয়েছিল। কারো কারো হাত-পা কেটে যায়।” “কেউ তেমন কোনো বড় আঘাত প্রাপ্ত হয়নি এবং তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের দল মাঠে রয়েছে, তবে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
রুটোর প্রাক্তন নেতা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার কাছ থেকে রুটো ক্ষমতার লাগাম নেন।
ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে রুটো কেনিয়াত্তার কাছ থেকে দূরে সরে যান। গত মাসের নির্বাচনে কেনিয়াত্তা ওডিঙ্গাকে সমর্থন করেছিলেন।
কম ভোটারের উপস্থিতি, একটি বিভক্ত নির্বাচন কমিশন এবং ওডিঙ্গার জালিয়াতির অভিযোগ করা এই নির্বাচনে ওডিঙ্গা ৬৯ লাখ ভোট পেয়ে রুটোর কাছে হেরেছেন। রুটো পেয়েছেন ৭১ লাখ ভোট।
ওডিঙ্গাকে সমর্থন করা সত্ত্বেও কেনিয়াত্তা কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন স্টেট হাউস সফরের মাধ্যমে নবাগত প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান।
তিনি রুটোকে পক্ষপাত ছাড়াই কেনিয়ার সকলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট রুটো জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় কমিয়ে আনার এবং বহু বছর ধরে ঋণ নেয়ার পর বিশাল ঋণ পরিচালনার মতো কঠিন কাজগুলোর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
তিনি কেনিয়ার সকলের জন্য কাজ করার, বিদেশী ঋণ কমানোর এবং দুর্নীতির মোকাবিলার অঙ্গীকার করেছিলেন।