বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “জনগণের স্বাস্থ্যসেবার নামে কোনো ব্যবসা চলবে না। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে, তা হতে দেব না। এজন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে, রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক জানান, “যে কোনো স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান; যারা সেবা দিয়ে থাকে, তারা যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয়, তাহলে আমরা তাদের কাজ করতে দেব না। আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে এবং তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে, তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে, তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে কাজ করতে দেওয়া হবে না।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন বলে জানান তিনি। বলেন, “হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে।”
রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এখন এখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও, হাসপাতালটি চালু হয়নি।
এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “সদর হাসপাতাল আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত নেব।”
