গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন; কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় জিএমপি'র গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন; গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি (উপ-কমিশনার,উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান, এডিসি (উত্তর) রেদোয়ান আহমেদ, এসি প্রসিকিউশন মো. ফাহিম আশজাদ ও গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (মিডিয়া) মো. আবু সায়েম নয়ন জানান, “শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠের অনুষ্ঠানে, আবু হেনা রনি ছাড়া আরও চার জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে রনিসহ তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।”
প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে, তাকে উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর হাতে বেশ কিছু বেলুন দেওয়া হয় উড়িয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও সেই বেলুন উড়াতে ব্যর্থ হন। পরে কয়েকজন সেই বেলুনগুলোকে মঞ্চের পাশে নিয়ে যায় এবং অন্যরা বেলুনে আগুন লাগিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তাদের গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভায় এবং গাড়িতে করে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে তাদের মধ্যে আবু হেনা রনিসহ তিনজনকে ঢাকার স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শ্বাসনালী ও এক কান পুড়ে গেছে, তিনি শঙ্কামুক্ত নন। এছাড়া, আবু হেনা রনির সঙ্গে দগ্ধ যুবক জিল্লুর রহমানকেও (৩২) আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার শরীরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, তারও শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নাগরিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
উল্লেখ্য, দগ্ধ আবু হেনা রনি একাধারে কমেডিয়ান, অভিনেতা, উপস্থাপক ও মডেল। তিনি ২০১১ সালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্স’ এ বিজয়ী হন।