বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, ২০২৬ সালে তা কার্যকর হবে। এর তিন বছর পর, অর্থাৎ ২০২৯ সাল থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশের জন্য আর থাকবে না।” তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ।”
শনিবার রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে, ওভারসিস করেসপনডেন্ট অফ বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, “উন্নত দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই বিশ্ব-বাণিজ্য করতে হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাজ শুরু করেছে। আমরা ভূটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করেছি। আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা চলছে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির কারণে চীন এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। চীন বাণিজ্য ব্যাবধান কমাতে ৯৯ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সেপা চুক্তি করার জন্য কাজ করছে। দেশের অর্থনীতির ভিত্তি শক্ত রাখার জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই।”
“গত বছর প্রায় ছয় হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ২০২৪ সালে আট হাজার কোটি ডলার এবং ২০২৬ সালে ১০ হাজার কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে আমাদের মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ অবদান রাখছে তৈরি পোশাক খাত;” জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, “পাশাপাশি আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাটসহ অন্তত ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলোর রপ্তানি দিনদিন বাড়ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমাদের আরও সম্ভাবনা রয়েছে। মিয়ানমার বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী ছিল, তাদের তৈরি পোশাক খাত প্রায় বন্ধ। চীন তৈরি পোশাক শিল্প রিলোকেট করছে। ফলে আমাদের সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেছে। আমাদের দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, উৎপাদন খরচ কম। তৈরি পোশাক শিল্পে গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”
“ভারত বাংলাদেশের তিনটি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করছে। আরও চাইলে বাংলাদেশ বিবেচনা করবে; জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।