বাসমা আলাবী ২০১০ সালে তার পরিবারের সাথে বাগদাদ থেকে পালিয়ে ফ্লোরিডায় আসেন। তিনি ও তার পরিবার প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর ফ্লোরিডায় আসেন। তিনি একজন সাবেক শরণার্থী এবং একজন শরণার্থী বিষয়ক সক্রিয়কর্মী।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের একজন।
তিনি বলেন, “অনেকগুলো কারণে আমি নাগরিক হওয়ার জন্য ক্ষণগনণা করছিলাম। প্রথমত, আমি আসলেই একটি পাসপোর্ট চাইছিলাম, যাতে করে আমি আমার পরিবারের সাথে দেখা করতে যেতে পারি। … এবং দ্বিতীয়ত, আমি ভোট দিতে চাইছিলাম। আমি চাইতাম আমার কন্ঠ শোনা হোক। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আমি তাদেরকে ভোট দিচ্ছি, যারা সামাজিক গোষ্ঠিগুলোকে রক্ষা করেন।”
আলাবী বলেন, আইনি মাধ্যমে নাগরিকত্ব পা্ওয়ার প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল হতে পারে। মহামারীর কারণে সেই প্রক্রিয়ায় বাড়তি বাধার সৃষ্টি হয়েছে, যেমন দীর্ঘসূত্রতা ও আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সময় দীর্ঘ অপেক্ষা। উদাহরণস্বরূপ, ফ্লোরিডার টাম্পা’র ফিল্ড অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য করা ৮০ শতাংশ আবেদনপত্রই ১৪ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু মেরিল্যান্ডের বল্টিমোরে প্রক্রিয়াকরণের সময় সাাড়ে ষোল মাস পর্যন্ত গড়িয়ে যাচ্ছে। আর, যুক্তরাষ্ট্রে আইনি প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের আবেদন করতে ৭২৫ ডলার খরচ হয়।
মহামারী কিছুটা থিতিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের আবেদন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে আট লাখ ,১৪ হাজার মানুষ নাগরিকত্ব পেয়েছে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালে নাগরিকত্ব লাভ করেছিল ৬ লাখ ২৮ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)-এর ২০২২ এর জুনে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আলাবী ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগে নাগরিকত্ব লাভ করেন। ভিওএ-কে তিনি বলেন, “আমার সময়ে,আমার আবেদন করার দিন থেকে মোটামুটি আট থেকে নয়মাস সময় লেগেছিল। আমি আমার এই আবাস ও এই দেশের প্রতি আরও বেশি অধিকার অনুভব করেছিলাম।”