অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের


মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের।
মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের কথা ‘স্বীকার করেছেন’। তবে তিনি দাবি করেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীরা ভারী কামান ও মর্টার নিক্ষেপ করছে, যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ কথা জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে যে, বাংলাদেশ মিয়ানমারকে জনগণের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বলেছে, চলমান পরিস্থিতি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ জনগণের মধ্যে ‘ভয়’-এর পরিবেশ তৈরি করছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আগস্টের পর চতুর্থবারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।

মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল নিক্ষেপে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি প্রতিবাদ নোটও হস্তান্তর করেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোকে আরও মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এই নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ক্ষতিকারক।

রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ড ও আকাশসীমাকে সম্মান জানানোর দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের।

এ প্রসঙ্গে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রতি বিরূপ কোনো উপাদানকে আশ্রয় না দেওয়ার নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

XS
SM
MD
LG