অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে পুনরায় মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা শুরু


অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সমুদ্রবন্দর বোটানিতে একটি কন্টেইনার জাহাজ থেকে পণ্য নামানো হয়েছে। ৫ অক্টোবর, ২০২১। ফাইল ছবি।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সমুদ্রবন্দর বোটানিতে একটি কন্টেইনার জাহাজ থেকে পণ্য নামানো হয়েছে। ৫ অক্টোবর, ২০২১। ফাইল ছবি।

অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করেছে।

২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল।

এর অগ্রগতি সবসময় সহজ ছিল না। অকাস (AUKUS) জোটের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সাথে চুক্তি করে ফ্রান্সের একটি লাভজনক সাবমেরিন চুক্তি অস্ট্রেলিয়া বাতিল করায় সে বিষয়ে হতাশা দেখা দেয়। । সে ক্ষোভ হ্রাস পেয়েছে। তবে পূর্ববর্তী রক্ষণশীল ক্যানবেরা সরকারের অধীনে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশগত লক্ষ্য নিয়ে ইউরোপে উদ্বেগ বিদ্যমান ছিল। পূর্ববর্তী সরকার জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের শক্তিশালী সমর্থক ছিল।

তবে সম্প্রতি নির্বাচিত লেবার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ নির্গমণ হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথমবারের মতো পরিবেশগত লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং নতুন নীতিমালার অধীনে ইউরোপের সাথে বাণিজ্য আলোচনার সূচনা হয়েছে। ইইউ এই সপ্তাহে ক্যানবেরায় একটি উর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে এবং ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার আলোচকরা গরুর মাংস, দুধ, চিনি এবং শস্যসহ মূল কৃষি রপ্তানির জন্য আরও বেশি সুযোগ চান। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সদস্য স্থানীয় উৎপাদকদের সুরক্ষার জন্য আমদানি সীমিত করতে চায়।

ক্যানবেরা সরকার তাদের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর সাথে এক ডজনেরও বেশি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

১৯৮৩ সালে নিউজিল্যান্ডের সাথে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

XS
SM
MD
LG