মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও এর বৈশ্বিক প্রভাব।
নেতারা সারা বিশ্বের কৃষকদের কাছে শস্য রোপণের মৌসুম আসার আগেই গ্রহণযোগ্য মূল্যে সার পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেন, ‘এখুনি উদ্যোগ নেওয়া না হলে বৈশ্বিক সার সংকট খুব দ্রুত রূপ পাল্টে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে পরিণত হবে।’
সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ও আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন ম্যাকি সাল খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি মন্ত্রক-পর্যায়ের বৈঠকে মন্তব্য করেন, ‘২০২১ সালের তুলনায় সারের দাম ৩ গুণ বেড়েছে।’
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়া সার রপ্তানির ওপর কোটা বসিয়েছে। কারণ হিসেবে নিজেদের কৃষকের জন্য যথেষ্ট মজুত রাখার কথা জানিয়েছে দেশটি। মস্কো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সার রপ্তানিকারক। ফলে সরবরাহে বিঘ্ন ও স্বল্পতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। কিছু ক্ষুদ্র খামারিদের জন্য সার আওতার বাইরে চলে গেছে, যেটি তাদের শস্য উৎপাদনকে নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দেবে।
এতে ইতোমধ্যে নাজুক অবস্থায় থাকা বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে পড়বে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত রয়েছে।
কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও, রাশিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা এতে রাজি নয়। শিগগির লুহানস্ক ও ডনেটস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য তারা গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির ওপর পশ্চিমের দেশগুলো কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তবে রাশিয়ার দাবি ভিন্ন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মঙ্গলবার কূটনীতির মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান করার আহ্বান জানান।
তবে রাশিয়া বা ইউক্রেন, কোনো দেশেরই নেতা এ সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে আসছেন না। ফলে এ ধরনের কোনো কিছু ঘটার আপাত: সম্ভাবনা নেই।