শেখ হাসিনা বলেন, “কোনো দেশ এককভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে না। এই মুহূর্তে, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং বৈশ্বিক সংহতি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে জিসিআরজি (গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ) চ্যাম্পিয়নদের সাথে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধের প্রবল প্রভাব এবং অন্যান্য সংকট সমাজ ও অর্থনীতিতে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, গভীর দাগ ফেলেছে। এটি আমাদের কোভিড মহামারীর প্রভাব পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের ব্যবস্থাকে সক্রিয় করার জন্য, জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। এ বিষয়ে তিনি জিসিআরজি পরিচালনা কমিটির কাজের প্রশংসা করেন।
খাদ্য ও জ্বালানি সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি আর্থিক ও বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বুধবার তার আবাস্থল, হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ কার্যক্রম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাক্ষাতকালে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ডব্লিউইএফের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আব্দুল মোমেন বলেন, “অধ্যাপক শোয়াব আগামী জানুয়ারিতে ডাভোসে ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”