অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শিনজিয়াং-এ চীনের কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ


শিনজিয়াং অঞ্চলের ইয়াংগিসার-এ একটি আবাসিক এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পেছনে চীনের পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছে, ৪ জুন ২০১৯।
শিনজিয়াং অঞ্চলের ইয়াংগিসার-এ একটি আবাসিক এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পেছনে চীনের পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছে, ৪ জুন ২০১৯।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে অধিকার কর্মী ও বেশ কিছু পশ্চিমা কূটনৈতিক একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। চীনের শিনজিয়াং-এ উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কী জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চীনের কথিত অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানাতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘে কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি বব রে বলেন, “বর্তমান পৃথিবীতে এই ধরণের ও এই মাত্রার বৈষম্য গ্রহণযোগ্য নয়।” আটলান্টিক কাউন্সিল গবেষণা গোষ্ঠী ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনার উদ্বোধনী বক্তব্যে কথাগুলো বলেন তিনি।

দীর্ঘ প্রতিক্ষিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় চীন সরকার “গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন” করেছে।

গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, মিশেল বাচেলেট তার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে, শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল বা এক্সইউএআর-এর অধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তার দফতরের মূল্যায়নটি প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চীন সন্ত্রাসবিরোধী ও চরমপন্থা বিরোধী পদক্ষেপের আড়ালে, উইঘুর ও অন্যান্য প্রধানত মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে “সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে”।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তাদের মূল্যায়নটি চীনের সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, যাতে তারা তাদের আচরণের জবাবদিহিতা করে এবং শিনজিয়াং-এ নির্বিচারে আটক করা সকল ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়। শিনজিয়াং-এ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বর্ণনা করা হয় প্রতিবেদনটিতে। এসব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে, ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষাগত পরিচয় ও প্রকাশ; প্রজননের অধিকার, গোপনীয়তা ও চলাচলের স্বাধীনতা; জোরপূর্বক শ্রম; পরিবারকে বিচ্ছিন্ন রাখা; এবং প্রতিবাদের কারণে প্রতিশোধ নেওয়া।

XS
SM
MD
LG