বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা অস্বীকার করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের লেনদেন বিষয়ক গুজব ছড়িয়ে পিয়ংইয়ংয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনেছে।
এ মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে লাখ লাখ রকেট ও কামানের গোলা কেনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে”।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপ-মহাপরিচালক রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম কেসিএনকে বলেন, “আমরা কখনো রাশিয়ার কাছে অস্ত্র অথবা গোলাবারুদ রপ্তানি করিনি এবং আমাদের এরকম কোনো পরিকল্পনাও নেই।”
তিনি আরও জানান, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছি ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়া) নিয়ে এ ধরনের লাগামহীন বক্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে এবং নিজেদের মুখ বন্ধ রাখতে।”
এ মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকও এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অস্ত্র বিক্রির কোনো প্রমাণ দেননি বা এ ধরনের কোনো লেনদেন কখনো হয়েছে কী না, তাও নিশ্চিত করেননি। তবে অনেক পশ্চিমা বিশ্লেষকের মতে এ ধরনের লেনদেন খুবই স্বাভাবিক ।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার অস্ত্র কেনার অভিযোগ এটারই ইঙ্গিত দেয়, যে আন্তর্জাতিক মহলের বিধিনিষেধের কারণে মস্কো বড় আকারে সরবরাহ ঘাটতিতে ভুগছে।
এছাড়াও, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইউক্রেন বাহিনী এ মাসের শুরুতে পাল্টা আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়া তাদের অধিগ্রহণকৃত ভূখণ্ড ধরে রাখতেও বেগ পাচ্ছে।
গত কয়েক মাসে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করেছে।
সম্প্রতি রুশ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম জানায়, মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উত্তর কোরিয়ার নির্মাণকর্মীদের “গণপ্রজাতন্ত্রী ডনেটস্ক” অঞ্চলে আনার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করছে।
এ ধরনের উদ্যোগ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সনদের লঙ্ঘন করবে। একই সনদ উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানিকেও নিষিদ্ধ করে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জবাব ছিল এই সব নিষেধাজ্ঞা ।
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আবারও জানায়, পিয়ংইয়ং জাতিসংঘের এসব সিদ্ধান্ত মানে না। প্রতিটি দেশের নিজ উদ্যোগে অস্ত্র তৈরি ও রপ্তানি করার অধিকার রয়েছে।