বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক হাজারের বেশি ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব জানান, “পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্র লুটের চেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায়, সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে প্রধান অভিযুক্ত উল্লেখ করে, দলটির ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও সাত থেকে ৮০০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।”
উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনউদ্দিনের দায়ের করা মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মুক্তারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ২৪ জনকে আটক করে। তাদের সকলের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, “মুক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে, দোকানপাট ভাংচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক থেকে দেড়শ’ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে।”
এদিকে, পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বিকালে মুন্সীগঞ্জ শহরের কাচারি এলাকার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হয়।