সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ উপকুলীয় শহর তারতৌসের কাছে অভিবাসন প্রার্থীদের নৌকায় ৩৪টি মৃতদেহ পেয়েছে এবং প্রাণে রক্ষা পেয়েছে এমন ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে, বন্দরের মহাপরিচালক সামের কুবরুসলি যে উদ্ধারকৃত লোকজন বলছেন যে তাদের নৌকা লেবাননের উত্তরাঞ্চল থেকে রওয়ানা দিয়েছিল।
উদ্ধারকৃতদের উদ্ধৃত করে কুবরুসলি বলেন নৌকাটি বেশ কয়েকদিন আগে উত্তর লেবাননের মিনেহ থেকে যাত্রা শুরু করে এবং আরোহীরা ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তিনি বলেন প্রচন্ বাতাস সত্ত্বেও দূর্দম সমুদ্রে সন্ধান অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৮৫০’এর দশকের পর লেবাননে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশান্তরী লোকজনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। লেবাননীরা ছাড়া্ও অনেকেই যারা অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকায় চড়েন তারা নিজেরাই সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের শরনার্থী।
লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ত্রিপোলিতে বৃহষ্পতিবার দিনে আগের দিকে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে কয়েক ডজন লোক প্রতিবাদ জানান যে তারা বহু লোকদের বহনকারী অভিবাসন প্রার্থীদের নৌকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। রয়টার্স তাত্ক্ষণিক ভাবে এ ব্যাপারে নিশিচত হতে পারেনি যে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ যে নৌকাটির সন্ধান পেয়েছে সেটি একই নৌকা কীনা।
বুধবার লেবাননের সেনাবাহিনী জানায় যে সে দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি নৌকা থেকে তারা ৫৫ জনকে উদ্ধার করেছে এবং নৌকাটিকে টেনে উপকুলে নিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা এ মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্সকে জানায় সমুদ্রপথে লেবানন ত্যাগ করেছেন কিংবা ত্যাগ করার চেষ্টা করেন এমন লোকের সংখ্যা ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তূলনা করলে এই ২০২২ সালে ৭০% শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা বলছে প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, “ক্রমঅবনতিশীল অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে টিকে থাকার অক্ষমতা” এবং “মৌলিক পরিষেবার অভাব ও চাকরির সীমিত সুযোগ”