অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করতে, চীনকে তার প্রভাব খাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওং।
ওং বলেন, তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে একটি "গঠনমূলক" বৈঠক করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া চায় ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানাতে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন তার অবস্থানকে কাজে লাগাক।
এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সপ্তাহে সংঘর্ষকে আরও তাঁতিয়ে দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে সবরকম অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো সংরক্ষকদের গণসংহতির আদেশ দেওয়া।
ওং বৃহস্পতিবার তাঁর বক্তব্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনে সামরিক সাহায্যকারী বৃহত্তম নেটো বহির্ভূত রাষ্ট্র। দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাঁজোয়া কর্মী বাহক যানের পাশাপাশি, মানবিক সরবরাহও পাঠিয়েছে এবং শত শত রুশ রাজনীতিবিদ, সামরিক কমান্ডার এবং ব্যবসায়ীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ক্যানবেরা এ পর্যন্ত ইউক্রেনের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তার জন্য আনুমানিক ২৪ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি থেকে, অস্ট্রেলিয়া প্রায় নয় হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে ভিসা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী আইন প্রণেতারাও চায়, অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করুক এবং ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা বৃদ্ধি করুক।
দেশটির ছায়া পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে হবে।