অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লিখেছে খুলনার এক হাজার কৃষক পরিবার


বাংলাদেশের খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছে এক হাজার কৃষক পরিবার।
বাংলাদেশের খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছে এক হাজার কৃষক পরিবার।

বাংলাদেশের খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছে এক হাজার কৃষক পরিবার।

সম্প্রতি বাণীশান্তা-ভোজনখালী সংযোগ সড়কে এ উপলক্ষে চিঠি লেখা কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি।

পোস্টকার্ডের মাধ্যমে লেখা ঐ চিঠিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পশুর নদ খননের বালু কৃষিজমিতে না ফেলে, বিকল্প জায়গায় ফেলার দাবি জানান কৃষকরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “আমাদের ধারণা ছিলো, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, কৃষকদের বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ তা না করে, বিভিন্ন মহলকে উসকানি দিচ্ছে ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় বাণীশান্তার ৩০০ একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষায়, ১২০০ কৃষক পরিবারের পাঁচ হাজার মানুষের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

তারা বলেন, “উন্নয়ন করতে গিয়ে কৃষিজমি নষ্ট করা যাবে না; এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না; প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা জীবন দেবো, তবুও বাণীশান্তার তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালু ফেলতে দেবো না।”

সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য কৃষক পাপিয়া মিস্ত্রি বলেন, “মোংলা বন্দর কর্তৃক বাণীশান্তার কৃষিজমিতে বালু ফেলার বিরুদ্ধে দাকোপের জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধ।”

“আমাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন, যাতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিকল্প জায়গায় বালু ফেলে বাণীশান্তার উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগী হয়:” বলেন ইউপি সদস্য কৃষক পাপিয়া মিস্ত্রি।

XS
SM
MD
LG