লেবাননের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এক শরণার্থী শিবিরের ছোট এক ফুটবল মাঠে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শনিবার এক ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করেন। চলতি সপ্তাহে সিরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকার নৌকাডুবিতে নিহত বহুসংখ্যক শরণার্থীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। এই ঘটনার পরও, অনেকেই এই ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-যাত্রায় যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা ধারণ করেন।
২৪ বছর বয়সী আবদুল-আল আবদুল-আল মঙ্গলবার তার বাবাকে বিদায় জানিয়ে, ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় কাছের একটি শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া এক জনাকীর্ণ নৌকায় উঠেন। সংকটময় ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি থেকে পালানোর এটি ছিল তার ১৪তম প্রচেষ্টা। এবার তিনি লাশ হয়ে ফিরে আসেন। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়, তার পিতা, ওমর, দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন যে, তিনি যে শিবিরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানেই তাকে সমাহিত করা হবে।
সিরিয়ার উপকূলবর্তী টারটাস শহরে অবস্থিত আল-বাসেল হাসপাতালের প্রধান শনিবার জানান যে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ জন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর ২০ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
লেবাননের সেনাবাহিনী শনিবার জানিয়েছে, যে ব্যক্তি ঐ ভয়ংকর যাত্রার আয়োজন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাকে সৈন্যরা গ্রেফতার করেছে।
কর্মসংস্থান ও স্থিতিশীলতার সন্ধানে লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ লেবানন থেকে সাগর পথে পালিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে, এটি সবচেয়ে ভয়ংকর যাত্রা। লেবাননের মুদ্রা ৯০ শতাংশেরও বেশি মূল্যমান হারানোর পর, দেশটির হাজার হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এর ফলে হাজার হাজার পরিবার ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে এবং দেশটির তিন-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্রে পতিত হয়।