ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জোর দিয়ে বলেছেন, সরকারের নৈতিকতা পুলিশের হাতে মাহসা আমিনি নামের একজন কুর্দি তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশব্যাপী সৃষ্ট ব্যাপক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সরকারকে দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। দেশটির অন্তত ১৩৩টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বর্তমান বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল গিলান প্রদেশের পুলিশ প্রধান জেনারেল আজিজুল্লাহ মালেকি। তিনি সরকারি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তার প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী “ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।” গিলানে বিক্ষোভ করার দায়ে ৭শ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে রাজধানী তেহরানে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ও সাত্তার খান জেলার সরকারের সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক বাসজি মিলিশিয়া এবং বিক্ষোভকারীন্দের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ সংঘটিত হতে দেখা গেছে।
ইরানের বিশ্লেষক আলি নুরিজাদেহ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “নারীরা তাদের স্বামী, পুত্র এবং ভাইদের সাথে রাস্তায় প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে।” অন্যদিকে “২০১৮ সালে ও গত বছর বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারী ছাত্রদের ওপর সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও” বিপুল সংখ্যক ছাত্র এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে।
সরকার বিরোধী সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, গত সপ্তাহে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে প্রাথমিকভাবে দেশের বেশিরভাগ কুর্দি অঞ্চলে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠার পর থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার ইরানি সাংবাদিক আইদা গাজার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারের সামনে নিখোঁজ হওয়া লোকজনের পরিবারের সদস্যরা তাদের নিখোঁজ প্রিয়জনকে সেখানে রাখা হয়েছে কিনা তার সন্ধান করছেন।