অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাধ্যতামূলক ড্রেসকোড বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ইরানের প্রধান সংস্কারবাদী দল


তেহরানে নারীদের জন্য ইসলামিক পোশাক বাধ্যতামূলক করার সমর্থনে একটি অনুষ্ঠানে বোরকা পরা ইরানি নারীরা যোগ দিচ্ছেন। ১১ জুলাই, ২০১৯। ফাইল ছবি।
তেহরানে নারীদের জন্য ইসলামিক পোশাক বাধ্যতামূলক করার সমর্থনে একটি অনুষ্ঠানে বোরকা পরা ইরানি নারীরা যোগ দিচ্ছেন। ১১ জুলাই, ২০১৯। ফাইল ছবি।

শনিবার ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী দল টানা ৮ রাত বিক্ষোভের পর ১৯৮৩ সাল থেকে বলবৎ নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ইসলামিক ড্রেসকোডের অবসানের আহ্বান জানিয়েছে।

দলটির নেতৃত্বে রয়েছে সংস্কারপন্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির প্রাক্তন সহযোগীরা। খাতামি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পশ্চিমের সাথে ইরানের সম্পর্ক সহজ হওয়ার কার্যক্রমের তদারকি করেছিলেন। দলটি কর্তৃপক্ষকে “বাধ্যতামূলক হিজাবের আইন বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি উপাদানগুলো প্রস্তুত করার” আহ্বান জানিয়েছে।

আইনিভাবে দলটির অস্তিত্ব থাকলেও তারা দৃঢ়ভাবে ক্ষমতার করিডোরের বাইরে রয়ে গেছে। দলটি বলেছে, ইরানের উচিত “নৈতিকতা পুলিশের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ” ঘোষণা করা এবং “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমোদন দেয়া।”

দলটি বলেছে, আমিনির মৃত্যুর পরিস্থিতি তদন্ত করার জন্য একটি “নিরপেক্ষ কমিশন” গঠন করা উচিত এবং তারা “সম্প্রতি আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি” দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আমিনির মৃত্যুর পর যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে তাতে ৩৫ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। সংস্কারপন্থী সাংবাদিক ও কর্মী এবং বিক্ষোভকারীসহ আরও শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪ বছর পর ১৯৮৩ সালে গৃহীত আইনের অধীনে ধর্ম বা জাতীয়তা নির্বিশেষে সকল নারীকে জনসমক্ষে হিজাব দিয়ে তাদের চুল ঢেকে রাখতে হয় এবং তাদেরকে কোটের নিচের অংশে ঢিলেঢালা ফিটিং-এর ট্রাউজার পরতে হয়।

এই রীতিনীতি বিশেষ করে প্রধান শহরগুলোতে কয়েক দশক ধরে ব্যাপকভাবে বর্জন করা হয়েছে। তবে সময়ে সময়ে এই বিধি বর্জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG