অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনার টিকা তৈরিতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তা করুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএনবির সাথে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএনবির সাথে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাহিদ মালেক বলেছেন, “এখন পর্যন্ত আমরা নানা চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনে আমাদের নাগরিকদের সরবরাহ করেছি। এখন আমরা একটি ভ্যাকসিন-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কিছু জমি কিনেছি এবং আমেরিকার কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।”

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশেনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে এসে, তিনি এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

জাহিদ মালেক বলেন, “ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কিছু আমেরিকান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।সরকার থেকে সরকার (জিটুজি’র) ভিত্তিতে বাংলাদেশ এই সহায়তা পাবে।”

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বছরের ইউএনজিএ অধিবেশনে স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কারণ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারী এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর বৈঠক করতে পারেনি। মহামারী চলাকালীন অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতার মতো বিষয়গুলো জাতিসংঘের অধিবেশনে ব্যাপকভাবে আলোচনায় ছিল।”

জাহিদ মালেক আরও বলেন, “মহামারীর সময় ভ্যাকসিন বিতরণ ছিল অসম। গরিব দেশের মানুষের চেয়ে ধনী দেশের মানুষ বেশি টিকা পান। এছাড়া, সমাজের একটি অংশ যদি টিকা না পেয়ে থাকেন, তবে যারা টিকা নিয়েছেন, তারা আবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। ফলস্বরূপ, এ বছরের জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিন ইস্যুটি বিশেষ মনোযোগ পেয়েছে।”

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানকারী সমস্ত দেশ দ্ব্যর্থহীন ভাবে স্বীকার করে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবশ্যই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জ্ঞান থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “ মহামারীর সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। অনেক দেশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি টেস্টিং সিস্টেমের অভাবে, তাদের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষার খরচ বহন করতে পারেনি। জাতিসংঘের অধিবেশনে ধনী দেশগুলো, অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পরীক্ষার সুবিধা তৈরিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

XS
SM
MD
LG