অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঝিনাইদহে ধর্ষণের পর হত্যা: ১১ বছর পর রায়, ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাংলাদেশের ঝিনাইদহে, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও পরে হত্যার অভিযোগে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। ১১ বছর পর এই মামলার রায় হলো।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাথে ব্দ্লত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন; ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল, তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন।

রায়ের বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে ধর্ষণ করে দণ্ডিতরা। পরে তারা ঐ নারীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী আরব আলী বাদী হয়ে পরদিন ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন।

১১ বছর পর, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদী আরব আলী বলেন, “২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে এরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিলো।”

ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, “দশ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও, একজন মারা যাওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ে পলাতকদের গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”

XS
SM
MD
LG