মঙ্গলবার তালিবানের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আফগানিস্তানে তাদের শুধুমাত্র পুরুষ দ্বারা গঠিত সরকারকে আর বিলম্ব না করে মেয়েদের জন্য সমস্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নারী শিক্ষার ওপর ইসলামি কোনো বিধিনিষেধ নেই।
তালিবানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই রাজধানী কাবুলে তালিবানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও নেতাদের এক সমাবেশে টেলিভিশন ভাষণে এই বিরল আবেদন জানান।
এক বছরেরও বেশি সময় আগে ক্ষমতা দখলের পর থেকে প্রাক্তন ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ষষ্ঠ শ্রেণি ও এর উপর ক্লাসে পড়া মেয়েদের শ্রেণীকক্ষে ফিরতে বাধা দেয়। তাদের এই পদক্ষেপটিকে তারা ধর্মীয় নীতির ভিত্তিতে দেখানোর চেষ্টা করে।
জাতিসংঘের অনুমান, নারীশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আফগানিস্তানে প্রায় ১০ লাখ মেয়ের মাধ্যমিকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
অন্যান্য তালিবান কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে কিশোরীদের জন্য পুনরায় স্কুল চালু করার পক্ষে কথা বলেছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, তাদের কেউই তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং তার কয়েকজন সহযোগীকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস করতে পারে না। এই কয়েকজনই মেয়েদের স্কুল বন্ধ এবং নারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পেছনে আছেন।
নারীদের ওপর পর্দার বিধিনিষেধ, পুরুষ আত্মীয় ছাড়া দীর্ঘ পথ ভ্রমণে নারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং নাগরিক স্বাধীনতার ওপর অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাগুলো আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে তালিবানকে স্বীকৃতি দেয়া থেকে বিদেশী সরকারগুলো যেসকল কারণে বিরত থাকে তার মধ্যে অন্যতম।
আফগানিস্তানে তালিবান দখলদারিত্ব পশ্চিমা দেশগুলোকে তাদের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করতে প্ররোচিত করেছিল। এর ফলে ইতোমধ্যেই খারাপ অবস্থায় থাকা মানবিক সংকটের আরও অবনতি ঘটিয়েছে , জাতীয় অর্থনীতিকে পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং লাখ লাখ আফগান তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে।
এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন মার্গারেট বশীর।