যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বৃহস্পতিবার উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে পৃথককারী অসামরিকীকৃত এলাকা বা ডিএমজেড পরিদর্শন করবেন। যেই এলাকা উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিরপেক্ষ এলাকা হিসেবে কাজ করে।
আততায়ীর গুলিতে নিহত জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু মঙ্গলবার টোকিওতে একের পর এক আলোচনার সময় হ্যারিসের ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই অঞ্চলে সফরের বিষয়টি ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী হান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের সফরটি হবে “কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা ও শান্তির প্রতি ওয়াশিংটনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির খুবই প্রতীকী প্রদর্শন"।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, হ্যারিস "১৯৫০-৫৩ সালের সংঘাতের সময় আমেরিকা এবং কোরিয়ার সৈন্যদের অভিন্ন আত্মত্যাগের প্রতিফলন ঘটাবে, যারা সে সময় একত্রে লড়াই করেছিল ও মৃত্য বরণ করেছিল”। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া সংঘর্ষ বাধিয়েছিল ।" ওই কর্মকর্তা বলেন, তাঁর সফর "পুনর্নিশ্চিত করবে" যে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি "ইস্পাত কঠিন"।
উত্তর কোরিয়া আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাত্র কয়েকদিন পরই হ্যারিসের এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ এক পৃথক বিবৃতি জারি করে বলেছে, হ্যারিস হ্যানকে বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে জোট "ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং সারা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির অপরিহার্য উপাদান হিসাবে রয়ে গেছে।"
দক্ষিণ কোরিয়ায় আমেরিকান সেনাবাহিনীর প্রায় আটাশ হাজার সৈন্য রয়েছে। এই সৈন্যবাহিনী ১৯৫০-এর দশকের কোরিয়ান যুদ্ধের অবশিষ্টাংশ, যে যুদ্ধ কোনও আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তিতে নয়, একটি যুদ্ধবিরতিতে শেষ হয়েছিল।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া।