অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের অধিকার কর্মকর্তারা


ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশ’ দ্বারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মারা যাওয়া তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পৌঁছেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশ’ দ্বারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মারা যাওয়া তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পৌঁছেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তারা ইরানের কঠোর ড্রেসকোড মেনে চলতে ব্যর্থতার অভিযোগে অভিযুক্ত এক তরুণীর মৃত্যুর কারণে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর হিংসাত্মক দমন-পীড়নের নিন্দা করেছেন।

পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানের ১৫টি প্রদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হিজাব সঠিকভাবে না পরার অভিযোগে ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে তথাকথিত নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, টেলিযোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধের কারণে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত, আহত ও গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীদের সঠিক সংখ্যা পাওয়া কঠিন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা ৪১ বলে জানিয়েছে।

তবে জাতিসংঘ মানবাধিকারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী বেসরকারি সংস্থাগুলো মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, নারী ও শিশুসহ ৭৬ জন নিহত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন অন্তত ১১টি প্রদেশে আরও কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছে।

মানবাধিকার রক্ষক, আইনজীবী, সুশীল সমাজ কর্মী এবং কমপক্ষে ১৮ জন সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরানের পুলিশ তাদের হেফাজতে থাকাবস্থায় মাহসা আমিনিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ইরানি কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জন্য আহ্বান জানিয়েছে। শামদাসানি তদন্তের জন্য এবং সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার প্রতি জোর দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারের উচিত আন্দোলনকারীদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করে তাদের কথা শোনা।

XS
SM
MD
LG