অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সহিংসতার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান


পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাজপথে সহিংসতা না করে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, “ঝড় এলে কেউ লাভবান হবে না। আমি স্বীকার করছি, অবশ্যই অনিশ্চয়তা আছে। এটা লুকানোর বিষয় নয়। সহিংসতার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। আপনাদের অবশ্যই আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে ‘বাংলাদেশ: কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম-চেঞ্জ অফ ফেব্রিক’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের সহিংসতা শেষ হয়েছে, তবে দুর্বলতা রয়েছে।”

বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডান্ডান চেন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। সিনিয়র অর্থনীতিবিদ নোরা দিহেল এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ পরামর্শদাতা জাহিদ হোসেন এই বিষয়ে দুটি পৃথক উপস্থাপনা পেশ করেন।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস এবং এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির।

অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কার বাস্তবায়ন না হওয়া বড় ব্যর্থতা।সংস্কার অবশ্যই ঘটবে, তবে তা তীব্রভাবে নাও হতে পারে।”

কারেন্সি অদলবদল এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যের জন্য চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “কারেন্সি অদলবদল একটি বিনিময় ব্যবস্থার অধীনে হবে।”

জাহিদ হোসেন বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে, বাংলাদেশের জন্য তিনটি প্রধান ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলোর ওপর নজর দিতে হবে। ক্ষেত্রগুলো হল; রপ্তানির বৈচিত্র্য, আর্থিক খাতে সংস্কার এবং শহুরে মানব সম্পদের দক্ষতার উন্নতি। তবে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি এই ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে।”

নোরা দিহেল বলেন, “বৃহত্তর ঢাকা বাংলাদেশের জিডিপির এক-পঞ্চমাংশ এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের প্রায় অর্ধেক তৈরি করে। জলবায়ু অভিবাসীদের থাকার জন্য ইতোমধ্যেই পুঁজি প্রস্তুত করা দরকার।”

সেলিম রায়হান বলেন, “স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক খাতের উন্নয়নে কম মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। আমাদের মানবসম্পদ গড়ে না উঠলে, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যে সুযোগগুলো তৈরি করা হচ্ছে, তার পুরো সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।”

সোনিয়া বশির বলেন, “বাংলাদেশের মোট নন-পারফর্মিং লোন-এ (এনএলপি) নারী ঋণগ্রহীতাদের অংশ পাঁচের কম। তার পরও তারা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছেন না।”

XS
SM
MD
LG