যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস দুই কোরিয়াকে বিভাজনকারী বেসামরিক অঞ্চল (ডিএমজি) সফরকালে বৃহস্পতিবার, উত্তর কোরিয়ার “নির্মম স্বৈরাচার” এবং “অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী” অস্ত্র কর্মসূচির প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
হ্যারিসের ডিএমজি সফরের ঠিক আগে ও পরে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। দেশটি এর আগেই এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া ঘেঁষে থাকা পানমুনজম গ্রামে হ্যারিস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণগুলির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে বলেন যে, সেগুলো “পরিষ্কারভাবেই একটি উস্কানি”।
তিনি বলেন, “উত্তরে আমরা একটি নির্মম স্বৈরাচার, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচি দেখতে পাই, যা কিনা শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলে।”
এর আগে হ্যারিস বৃহস্পতিবার দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সুক ইয়োল একজন রক্ষণশীল নেতা যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নামটি ব্যবহার করে হ্যারিস বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও রিপাবলিক অফ কোরিয়ার অভিন্ন লক্ষ্য হল কোরীয় উপদ্বীপে পূর্ণাঙ্গ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ।”
হ্যারিসের চারদিনব্যাপী এশিয়া সফরের শেষ গন্তব্য ছিল কোরিয়ার ডিএমজি। মঙ্গলবার হ্যারিস জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন।
সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বারবারই উত্তর কোরিয়ার মত অভিন্ন হুমকিগুলো মোকাবেলায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।