একটি উত্সবের মধ্য দিয়ে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউক্রেনের চারটি এলাকা অধগ্রহণের রুশ পরিকল্পনার কড়া নিন্দে করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব । তিনি এটিকে অবৈধ বলছেন এবং বলেছেন, এটি “ গ্রহণযোগ্য নয়”।
বৃহস্পতিবার আন্তোনিও গুতেরেস সংবাদদাতাদের বলেন, “জাতিসংঘের সনদ স্পষ্ট। অন্য কোন রাষ্ট্র দ্বারা একটি রাষ্ট্রের অঞ্চল, হুমকির মাধ্যমেই হোক কিংবা শক্তি প্রয়োগ করেই হোক, অধিগ্রহণ জাতিসংঘের সনদের নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন।”
তিনি বলেন পূর্বদিকে ডনেট্স্ক , লুহানাস্ক এবং দক্ষিণে জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অধিগ্রহণের জন্য এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যে কোন সিদ্ধান্তের “ কোন আইনি মূল্য নেই এবং তা নিন্দার যোগ্য।”
দিনে আরও আগের দিকে ক্রেমলিন ঘোষণা করে যে শুক্রবার তারা ইউক্রেনের চারটি এলাকাকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করবে। এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন এবং তার মিত্ররা অবৈধ বলে নাকচ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের মিত্র রাষ্ট্রগুলো এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ সংবাদদাতাদের বৃহস্পতিবার বলেন যে, অনুষ্ঠানটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ ঐ চার অঞ্চলের রুশ নিযুক্ত প্রধানগণও উপস্থিত থাকবেন। ঐ চারটি এলাকায় রাশিয়া গণভোটের নাটক সাজায়, যেটি এই সপ্তাহে আরও আগের দিকে শেষ হয়।
জাতি সংঘের প্রধান বলেন, “ আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে দখলকৃত অঞ্চলগুলিতে ঐ কথিত “গণভোটগুলো” হয় সক্রিয় সশস্ত্র সংঘাতের সময়, রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে এবং ইউক্রেনের বৈধ ও সাংবিধানিক অবকাঠামোর বাইরে। এগুলোকে সত্যিকার অর্থে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফল বলা যায় না।”
তিনি হুঁশিয়ার করে দেন যে রাশিয়া যদি তার পরিকল্পিত অধিগ্রহণ নিয়ে এগিয়ে যায় তা হ’লে তা হবে লড়াইয়ের “ বিপজ্জনক অবনতি” এবং তা শান্তির সম্ভাবনাকে রুদ্ধ করবে।
গুতেরেস বলেন , “ বিপদের দ্বার প্রান্ত থেকে ফিরে আসার এটাই শেষ সময়।”
গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ প্রধান জাতিসংঘে রাশিয়ার দূতের সঙ্গে বুধবার কথা বলার সময় এই বার্তা তাদের জানিয়ে দিয়েছেন।