টুইটারে পোস্ট করা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মন্ত্রকটি জানায় যে, ঝাপোরিঝিয়ায় ভূমিতে আক্রমণে “উচ্চমানের অস্ত্র” ব্যবহার, “প্রায় নিশ্চিতরূপেই গোলাবারুদের স্বল্পতা, বিশেষ করে নির্ভূলভাবে আঘাতে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের স্বল্পতার কারণে করা হচ্ছে”।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝাপোরিঝিয়া সহ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেদিন নিজেদের বলে ঘোষণা দেন, সেই শুক্রবার দিনের হামলাটিতেই রাশিয়া “এমন বেসামরিক মানুষদের হত্যা করে যাদেরকে তারা এখন নিজেদের নাগরিক বলে দাবি করছে”। ঐ হামলায় ৩০ জন নিহত ও অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। হামলার শিকার মানুষজন অধিকৃত এলাকাগুলো থেকে নিজেদের আত্মীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। মিকোলায়েভে হওয়া আরেক হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের এলাকা অধিভুক্ত করার পুতিনের ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার শুক্রবার সন্ধ্যার ভিডিওটিতে বলেন, “আমাদের দেশের পূর্বাঞ্চলে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল লাভ করেছি … লাইম্যান-এ কি হচ্ছে তা সবাই শুনেছেন।”
শুক্রবার পুতিন ইউক্রেনের এলাকা অধিভুক্ত করতে অগ্রসর হওয়া সত্ত্বেও, ডনেটস্ক এর উত্তরাঞ্চলে লাইম্যান শহরের কাছে রুশ সৈন্যদের একটি মূল গ্যারিসনে থাকা শত শত রুশ সৈন্যকে ইউক্রেনের সৈন্যরা ঘিরে ফেলে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বাহিনীর মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতয়্যি বলেন, “লাইম্যান এলাকায় থাকা রুশ দলটিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।”
ঐ এলাকায় রুশ পরাজয় ইউক্রেনকে এমন বিশাল এলাকা পুনর্দখলের সুযোগ করে দিবে, যেগুলোকে রাশিয়া এখন নিজেদের বলে দাবি করে।