আগামী সাধারণ নির্বাচনের তদারকির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
রবিবার (২ অক্টোবর) ঐক্যবদ্ধ সরকারবিরোধী আন্দোলনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে, কল্যাণ পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
বৈঠকের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করে আন্দোলন শুরু করব। যে দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করব সে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং পরবর্তী নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মতো বিষয়ে কল্যাণ পার্টির নেতারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।”
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “একযোগে আন্দোলন শুরু করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা আন্দোলন শুরুর সঠিক তারিখ প্রকাশ না করতে রাজি হয়েছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে চমক থাকবে।”
দ্বিতীয় দফা সংলাপের কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “প্রথম পর্যায়ের সংলাপে আমরা জাতীয় ঐক্য গড়তে এবং যুগপৎ আন্দোলন শুরু করতে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা যেসব বিষয় ও দাবি নিয়ে আন্দোলন করব সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি।”
দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ইব্রাহিমের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুল ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন।