অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনার কারণে বাংলাদেশে দুই বছর পর কুমারী পূজা উদযাপন


কুমারী পূজা
কুমারী পূজা

করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর বিরতির পর, বাংলাদেশে কুমারী পূজা উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সোমবার (৩ অক্টোবর) পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে এই পূজা উদযাপিত হয়।

মহাঅষ্টমীর প্রধান আকর্ষণ কুমারী পূজা। এই পূজায় প্রাক-বয়ঃসন্ধির একটি মেয়েকে ‘দেবী-মা’ হিসেবে পূজা করা হয়।সকালে এই পূজা উদযাপন করতে হাজার হাজার ভক্ত মণ্ডপে ভিড় করেন।

ঢাকা মহানগরীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কলাবাগান, বনানী, শাখারী বাজার ও রমনা কালী মন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। দেশ ও জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ কামনা করে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে বিপুল সংখ্যক ভক্ত দেবী দুর্গার সামনে প্রার্থনা করেন। এ উদযাপনের মধ্যদিয়ে মন্দের ওপর মঙ্গলের বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ভক্তরা বিশ্বাস করেন।

পূজিত মেয়েটি সেই শক্তির প্রতীক, যা পৃথিবীতে সৃষ্টি, স্থিতিশীলতা ও ধ্বংস নিয়ন্ত্রণ করে। দেবীকে প্রতীকীভাবে স্নান করানো হয় এবং চূড়ান্ত যুদ্ধের পোশাক পরানো হয়।

প্রাচীনকালে, দেবীর উদ্দেশে মহিষ উৎসর্গ করা হতো। বর্তমানে বেশিরভাগ মণ্ডপে দেবীর উদ্দেশে কলা, কুমড়া ও শসা উৎসর্গ করা হয়।

শনিবার বাংলাদেশের সব মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা। ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের এ উৎসব।

XS
SM
MD
LG