বাংলাদেশে কোভিড ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের সময়সীমা আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশন বিশেষ ক্যাম্পেইন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
আহমেদুল কবির বলেন, “বিশেষ এই টিকা ক্যাম্পেইন সোমবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, সরকারি ছুটি ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আরও তিনদিন এই কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৪, ৬, ৮ তারিখ পর্যন্ত বাদ পড়া ব্যক্তিরা নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।”
“গত ছয়দিনে এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ছয় লাখ দুই হাজার ৪৮ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ চার হাজার ৬৩৮ জনকে। আর বাকিগুলো দেওয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ হিসেবে;” জানান অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
ডা. কবির বলেন, “টিকাদানের কারণেই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে। গত কয়েকদিনে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার খুবই কম। এসব চিন্তা করেই বাদ পড়াদের টিকার আওতায় আনতে সময় বাড়ানো হয়েছে।”
টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, “গত ছয়দিনে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর মানুষ টিকা নিতে আসছে। মানুষের মধ্যে স্পৃহা তৈরি হয়েছে। এসব বিবেচনায় আরও তিন দিন এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।”
পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
৮ অক্টোবরের পর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, “যৌক্তিক কারণে কেউ টিকা থেকে বাদ পড়লে, তাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা হয়তো আর এভাবে কোন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবো না। তবে, হাসপাতালের নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে টিকা নেওয়া যাবে। এমনকি, এখন যারা প্রথম ডোজ নিচ্ছে, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষিত থাকবে।”