ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে মস্কো নিজ দেশের অংশ বলে দাবি করায় অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অস্ট্রেলিয়া রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা আরোপ করছে। ইউক্রেনের সমর্থকরা ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্যানবেরার সরকার বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের কর্মকাণ্ডকে “জাল” গণভোট এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে, ডনেটস্ক এবং লুহানস্কসহ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অংশে পরিণত হবে।
বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার এমন অধিগ্রহণের নিন্দা জানানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াও এর নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস অধিগ্রহণের বিষয়ে রবিবার সাংবাদিকদের বলেন যে, এটি অবৈধ।
অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যেই রুশ প্রতিষ্ঠান এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে “বিরাগপূর্ণ রাষ্ট্র”-র তালিকায় রেখেছে রাশিয়া।
গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজেতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের আনীত একটি মামলায় সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং স্পেনসহ অন্যান্য দেশও এতে সমর্থন জানায়।
আইসিজে রাশিয়াকে ইউক্রেনে তার আগ্রাসন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। আইসিজে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য মস্কোর বর্ণিত কারণকে সমর্থন করার কোনো প্রমাণ দেখেনি।
রাশিয়া এই আদেশ মানতে ব্যর্থ হয়েছে।