অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উন্নত অর্থনীতিগুলোর রাজস্বনীতি বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করেছে: জাতিসংঘ প্রতিবেদন


জাপানের হিগাশিওসাকা-তে অবস্থিত এক কারখানায় যন্ত্রপাতি নিরীক্ষা করছেন এক কর্মী, ২৩ জুন ২০২২। (ফাইল ফটো)
জাপানের হিগাশিওসাকা-তে অবস্থিত এক কারখানায় যন্ত্রপাতি নিরীক্ষা করছেন এক কর্মী, ২৩ জুন ২০২২। (ফাইল ফটো)

জাতিসংঘের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতিগুলো, বিশ্বকে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের চেয়েও খারাপ এক অর্থনৈতিক মন্দায় ফেলার ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে।

প্রতিবেদনটির লেখকরা সতর্ক করেছেন যে, বিশ্ব এক মন্দার কিনারে রয়েছে। এর কারণ হিসেবে উন্নত অর্থনীতিগুলোর খারাপ নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারী, ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা সংকটের কথা বলা হয়।

তারা অনুমান করেছেন যে, এই বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে কমে ২.২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। তারা বলছেন, এটির ফলে সর্বমোট ১৭ লক্ষ কোটি ডলার ঘাটতি দেখা দিবে, যা কিনা বিশ্বের মোট আয়ের ২০ শতাংশের কাছাকাছি।

প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, এমন মন্থরতা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো সহ বিশ্বের সকল অঞ্চলের দেশকেই প্রভাবিত করছে। সেটিতে বলা হয়, দরিদ্র দেশগুলোতে বৃদ্ধির হার তিন শতাংশেরও নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যার ফলে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আঙ্কটাড মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন যে, লাতিন আমেরিকার মধ্যম-আয়ের দেশগুলো সহ আফ্রিকার নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে, এই বছর সবচেয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক মন্থরতা দেখা দিবে।

গ্রিনস্প্যান বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো আশঙ্কাজনক মাত্রায় ঋণ পরিশোধের সংকট ও বিনিয়োগ স্বল্পতার মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, ৪৬টি উন্নয়নশীল দেশ একাধিক অর্থনৈতিক ধাক্কার চরমমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আরও ৪৮টি দেশ গুরুতর পর্যায়ের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা এক বৈশ্বিক ঋণ সংকটের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে।

গ্রিনস্প্যান বলেন, মন্দার ঝুঁকি থেকে সরে আসার জন্য এখনও সময় রয়েছে, যদি দেশগুলো তাদের কাছে থাকা কৌশলগুলোকে মুদ্রাস্ফীতি প্রশমিত করতে ও ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করতে ব্যবহার করে।

XS
SM
MD
LG