অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবার গোলাগুলি, আতঙ্কে এলাকাবাসী


ফাইল ছবি-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা বান্দরবান জেলার টোমব্রুতে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে। ১ মার্চ, ২০১৮।
ফাইল ছবি-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা বান্দরবান জেলার টোমব্রুতে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে। ১ মার্চ, ২০১৮।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পর, সোমবার (৩ অক্টোবর) আবার মিয়ানমারের দিক থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের কাছে, বাংলাদেশের রেজু আমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের দিক থেকে গুলিবর্ষণ শুরু। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গুলিবর্ষণ চলে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

ঘুমদুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, “ গত কয়েকদিন ঐ এলাকায় কোনো গুলিবর্ষণ হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর হঠাৎ করে তা আবার শুরু হয় গুলিবর্ষণ এবং সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।”

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, গুলির শব্দে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে, বাংলাদেশের ভেতরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর।

গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের তুমব্রুতে, মিয়ানমারের দিক থেকে গোলাগুলি চলছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জিরো পয়েন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত এবং পাঁচ জন আহত হন।

একই দিন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আরেক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হন। আহত অঙ্গনথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা।

XS
SM
MD
LG