২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দায়ের করা মামলায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আইনজীবীরা সোমবার আদালতকে বলেন, গত সপ্তাহে যুবরাজের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া নিশ্চিত করেছে।
ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি এজেন্টরা খাশোগজিকে হত্যা করে এবং তার দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে যে বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যের কার্যত শাসক, প্রিন্স মোহাম্মদই এই আদেশ দিয়েছিলেন।
যুবরাজ খাশোগজিকে হত্যার আদেশ দেওয়ার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে এটি "আমার নজরদারিতে" সংঘটিত হয়েছিল।
গত সপ্তাহে তার বৃদ্ধ বাবা বাদশাহ সালমান একটি রাজকীয় আদেশে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। একজন সৌদি কর্মকর্তা বলেন, যুবরাজ যে দায়িত্ব পালন করছেন , তা তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
ওয়াশিংটন পোস্টের একটি কলামে ক্রাউন প্রিন্সের নীতির সমালোচনা করা খাশোকজি তুর্কি নাগরিক হ্যাটিস চেঙ্গিজকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন।
খাশোগজি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চেঙ্গিজ এবং একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী যৌথভাবে মামলাটি দায়ের করে এবং যুবরাজের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ দাবি করে। পশ্চিমে তিনি এমবিএস নামে পরিচিত ।
এতে অভিযোগ করা হয় যে এমবিএস, তার সহ-আসামিগণ এবং অন্যান্যরা "মিঃ খাশোগজিকে স্থায়ীভাবে নীরব করার" জন্য একটি চক্রান্ত চালিয়েছিল, যখন যুবরাজ জেনে গিয়েছিলেন যে খাশোগজিকে এই গোষ্ঠীটিকে "গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং মানবাধিকার প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম" হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছেন।
প্রিন্স মোহাম্মদের অব্যাহতি পেতে পারেন কিনা তা নিয়ে মতামত জানাতে আদালত যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন।
গত সপ্তাহে যুবরাজের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের পর শুক্রবার দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, "এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে" আদালতের কাছে তার প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত করতে তারা ৪৫ দিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।
সোমবার, যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ জন ডি বেটস মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধটি শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করেছেন । কিন্তু বলেছেন অতি-আবশ্যক প্রমাণের অভাবে , এটি এক মাত্র মেয়াদবৃদ্ধি যার অনুমতি তিনি দিচ্ছেন।