লেবানন এবং ইসরাইল একটি সামুদ্রিক চুক্তি সম্পন্ন করার কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে। চুক্তিটি সমুদ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেবে এবং এর ফলে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল ও লেবাননে ক্ষমতার নিয়ামক ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার মধ্যকার একটি ঐতিহাসিক সংঘাতকে নিরস্ত করবে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরের কানা প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রটি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে ইসরাইল এবং লেবাননের মধ্যে টানাপড়েন চলছে; এটি নিয়ে দেশ দুটি কয়েক দশক ধরে ধরতে গেলে যুদ্ধে জড়িয়ে রয়েছে।
ভূমধ্যসাগরের সম্ভাব্য হাইড্রোকার্বন-সমৃদ্ধ অঞ্চলে উপকূলীয় খনন অধিকার নিয়ে আংশিকভাবে দেশ দুটি একটি সামুদ্রিক সীমান্ত বিরোধে আবদ্ধ রয়েছে। উভয়েই তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮৬০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দাবি করেছে।
চুক্তির অধীনে কানা গ্যাসক্ষেত্রসহ সমুদ্র মানচিত্রের ২৩ নং লাইনের উত্তরের অঞ্চলের ওপর লেবাননের সার্বভৌমত্ব থাকবে। কারিশ গ্যাসক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলের হাতে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, লেবাননের লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত একটি বিদেশী গ্যাস কোম্পানি কানায় প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করবে, যেখানে ইসরাইল রাজস্বের আংশিক অংশ পাবে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ প্রাথমিকভাবে খসড়া চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এমনকি তাদের প্রধান শত্রু, লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র মিলিশিয়া এবং ইরান সমর্থিত রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহ একটি চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে বলে সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেছে।
কিন্তু শেষ সময়ে খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে।
যদিও হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরাইলি খনন কার্যক্রমে আঘাত করবেন বলে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ইসরাইল লেবাননের সামুদ্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। খতিব এবং অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলছেন, হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ চায় না কারণ তাদের প্রতিশোধ নেয়ার সামর্থ্য নেই।