যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তাঁর পেরু সফরকালে আমেরিকা মহাদেশের অভিবাসন প্রত্যাশী এবং শরণার্থীদের জন্য নতুন মানবিক সহায়তা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন। ব্লিংকেন আঞ্চলিক সফরে কলম্বিয়া এবং চিলি হয়ে এখন পেরুর রাজধানী লিমায় রয়েছেন । সেখানে তিনি অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস(ওএএস) জেনারেল অ্যাসেম্বলির বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। বৈঠকটি শুক্রবার শেষ হবার কথা।
পশ্চিম গোলার্ধে অভিবাসনের বিষয়ে জটিল প্রশ্ন নিয়ে ওএএস’এর মন্ত্রীদের আলোচনায় যোগদানের অল্প আগে, ব্লিংকেন সংবাদদাতাদের বলেন নতুন এই মানবিক এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহায়তার পরিমাণ হবে ২৪ কোটি ডলারের মতো।
তিনি বলেন এই অর্থ “আমাদের গোটা গোলার্ধ্ব জুড়ে শরনার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা , আশ্রয় , শিক্ষা এবং আইনি সহযোগিতাসহ সব রকমের প্রয়োজনীয়তা মেটাবে”।
ব্লিংকেন বলেন, “ইতিহাসের যে কোন সময়ের তূলনায় বিশ্বজুড়ে আরো অনেক মানুষ বাস্তচ্যূত হয়েছেন, এই সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। আর আমাদের নিজেদের গোলার্ধই গভীর, ব্যাপক , নতুন কিছু উপায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে”।
মানুষের অভিবাসন প্রত্যাশা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের জন্য একটা বড় রকমের সমস্যা যখন তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষরা প্রায়শই দাবি করছেন যে বেআইনি সীমান্ত পারাপারের মুখে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তকে অরক্ষিত রেখেছেন।
ওএএস’এ’র সাধারণ পরিষদে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর ৫২তম এই অধিবেশনের স্বাগতিক দেশ হচ্ছে পেরু। সে দেশের সীমান্তের মধ্যেই আনুমানিক ১২ লক্ষ ভেনেজুয়েলার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এই বৈঠকটি শুরু হয় বুধবার। এখানে ভিডিও’র মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি , রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের মুখে দূর্দশাগ্রস্ত তাঁর দেশকে সাহায্য করতে এই সংগঠনের প্রতি জোরালো আবেদন রাখেন।
কুটনৈতিক সুত্রগুলো বলছে , “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে” শুক্রবার এই অধিবেশনে প্রস্তাব নেওয়ার কথা।
অধিবেশনে ভেনেজুয়েলা ও নিকারাগুয়ায় মানবধিকার বিষয়ে উদ্বেগ এবং হাইতিতে উদ্বেগজনক মানবিক পরিস্থিতি বিষয়ক প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করা হবে।