এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য একজন ব্যক্তি ও দুটো প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ীদের অন্যতম আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। তিনি বেলারুশে ১৯৮০’র দশকের মধ্যভাগে শুরু হওয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনাকারীদের একজন। তার সঙ্গে পুরষ্কার পওয়া দুইটি মানবাধিকার সংগঠনের একটি হলো মেমোরিয়াল। এটি একটি রুশ সংগঠন। অন্যটি ইউক্রেনের সংস্থা, সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস।
গত বছরের শান্তি পুরস্কারের দুই যৌথ বিজয়ী ছিলেন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার দ্যমিত্র মুরাটভ। ঐ সময় নোবেল কমিটি বলেছিল যে, এই দুই জনকে পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে “মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে তাদের উদ্যোগের জন্য। মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির একটি পূর্বশর্ত।”
পুরস্কারটিতে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ডলারের সমপরিমান অর্থ এবং একটি ১৮ ক্যারেট সোনার মেডেল।
যুদ্ধের কারণে স্থানচ্যুত হওয়া ইউক্রেনীয় শিশুদের সাহায্যার্থে মুরাটভ তাঁর নোবেল-মেডেলটি বিক্রি করে দেন। এক অজ্ঞাতপরিচয় মানবহিতৈষি ব্যক্তি ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলারে ঐ সোনার মেডেলটি কিনে নেন।
সম্মানজনক এই নোবেল শান্তি পুরস্কারের অন্যান্য অতীত বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন: মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, দ্য রেড ক্রস, নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনস, ডাগ হামারশোল্ড, এবং বারাক ওবামা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে, ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোন পুরস্কার দেওয়া হয়নি।