অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের রাজধানী সহ অন্যান্য শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা


ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ গোলাবর্ষণের এলাকায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাড়ি দেখা যাচ্ছে, ১০ অক্টোবর ২০২২।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ গোলাবর্ষণের এলাকায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাড়ি দেখা যাচ্ছে, ১০ অক্টোবর ২০২২।

ইউক্রেনের রাজধানীতে সোমবার ভয়াবহ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, দেশটির বিরুদ্ধে আঘাত হানা ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অংশ ছিল সেগুলো।

কিয়েভ পুলিশ জানিয়েছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই শহরের কেন্দ্রে আঘাত হানে, যাতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যস্ত এলাকাগুলোতে আঘাত করে, যার মধ্যে রয়েছে পার্ক ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

অপর আরও বেশ কিছু এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের লেভিভ শহর, মধ্যাঞ্চলের নিপ্রো শহর এবং পূর্বাঞ্চলের খারকিভ শহর। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ৪১টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, রাশিয়া বেসামরিক মানুষজন ছাড়াও দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা “আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা” ছড়ানোর এবং ইউক্রেনের বিদ্যুৎব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।

তিনি জানান যে, তিনি জি-সেভেন-এর এক জরুরি বৈঠকে বক্তব্য দিবেন এবং জার্মানীর চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো’র সাথে পরিস্থিতি বিষয়ে তার আলোচনা হয়েছে। জার্মানী জানিয়েছে যে, বৈঠকটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।

পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেন, হামলাগুলো ইউক্রেনের জ্বালানী, সামরিক ও যোগাযোগ অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। তিনি আরও জানান যে, রাশিয়ার সাথে ক্রাইমিয়াকে সংযোগকারী এক সেতুতে শনিবার চালানো হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলাগুলো চালায় রাশিয়া।

কার্চ সেতুকে আংশিকভাবে ধ্বসিয়ে দেওয়া ঐ হামলার দায় ইউক্রেন দাবি করেনি। সেতুটি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পথ ছিল।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা টুইটারে বলেন, “সেতুটির [ঘটনার] আগেও রাশিয়া অনবরত ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের কারণে পুতিন মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত্রাস ব্যবহার করে যুদ্ধের গতি তার পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।”

কিয়েভে সর্বশেষ জুন মাসে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ইউক্রেন আক্রমণের শুরুর দিকে আগ্রাসী রুশ বাহিনীর চাপের মুখে থাকলেও, লড়াই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়লে কিয়েভে তুলনামূলক শান্তি বজায় ছিল।

XS
SM
MD
LG